জীবন বদলে দেয়ার মত একগুচ্ছ হাদীস।
রাসূল সা. বলেন,
♥”সব কাজই নিয়তের উপর নির্ভরশীল।”♥(সহীহ
বুখারী)
♥”আল্লাহকে ভয় কর যেখানেই থাকনা কেন। অন্যায় কাজ হয়ে গেলে পরক্ষণেই ভাল কাজ কর। কারন ভাল কাজ অন্যায়কে মুছে দিবে এবং মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার কর।”♥ (তিরমিযী-সহীহ)
♥”যে আমাদের সাথে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”♥ (মুসলিম)
#Lecture_Shomogro
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,
”যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে_ সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়, মেহমানকে সম্মান করে এবং ভাল কথা বলে নতুবা চুপ থাকে।” – (বুখারী)
”প্রকৃত মুসলিম সে ব্যক্তি যার মুখের ভাষা এবং হাত থেকে অন্য মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে।”- (সহীহ বুখারী)
#Lecture_Shomogro
রাসূল সা. বলেন,
”একজন মানুষের একটি সুন্দর ইসলামী বৈশিষ্ট্য হল সে অযথা কাজ পরিত্যাগ করে।” (মুওয়াত্তা মালিক)
রাসূল সা. বলেন,
”যে তার কোন ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন।” (বুখারী)
♥”যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের একটি কষ্ট দূর করবে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে অনেক বিপদের মধ্য থেকে একটি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।” (বুখারী)
”হে মু’মিনগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করনা এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করনা। তোমাদের মধ্যে কি কেহ তার মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করতে চায়? বস্তুতঃ তোমরাতো এটাকে ঘৃণাই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তাওবাহ কবুুলকারী, পরম দয়ালু।” (৪৯:১২)
”যে মানুষের দোষ- ত্রুটি গোপন করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখবেন।” (বুখারী)
#Lecture_Shomogro
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
”সব সময় সত্যকে আঁকড়ে ধরে থাক। কারণ সত্য কথা ভাল কাজের পথ দেখায়। আর ভাল কাজ জান্নাতের পথ দেখায়। মিথ্যা থেকে দূরে থাক। কারণ মিথ্যা অন্যায় কাজের পথ দেখায় আর অন্যায় কাজ জাহান্নামের পথ দেখায়।” (মুসলিম)
১৪. ﺍﻟﺪَّﺍﻝُّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻛَﻔَﺎﻋِﻠِﻪِ
“যে ব্যক্তি ভাল কাজের রাস্তা দেখায় সে ঐ ব্যক্তির মতই সাওয়াব পায় যে উক্ত ভাল কাজ সম্পাদন করে।” (তিরমিযী-সহীহ)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
🌟”মজলুমের বদ দুয়াকে ভয় কর। কারণ, তার বদ দুয়া আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।”🌟 🔷বুখারী🔷
উসমান ইবনে ‘আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।” (বুখারী)
”কুরআন মাজীদ পাঠ কর কিয়ামতের দিন কুরআন পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারী হিসাবে থাকবে”(মুসলিম)
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তাওবাহ কবুুলকারী, পরম দয়ালু। (৪৯:১২)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :
“বান্দা যখন সাজদায় রত থাকে তখন সে তার প্রভুর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়, কাজেই তোমরা এ সময়ে বেশি বেশি দু‘আ করবে।”(মুসলিম)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“যে ব্যাক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোন পথে চলে, আল্লাহ্র তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।”
(মুসলিম ২৬৯৯) Source: ihadis .com
আবূ উমামা বাহেলী (রাঃ) তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,
“তোমরা কুরআন পড়ো, কারণ তা কিয়ামতের দিন তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হয়ে আগমন করবে।”
(মুসলিম ৮০৪) ihadis .com
ইমাম মালেক রাহ. বলেন, একদা এক ব্যক্তি লোকমান হাকীমকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিভাবে মর্যাদা লাভ করা যায়? তো লোকমান হাকীম বললেন, ১.সত্য কথা বল, ২.আমানত রক্ষা কর, এবং ৩.অহেতুক কথা ও কাজ ত্যাগ কর তাহলেই উচ্চ মর্যাদায় পৌছানো যাবে। (মুয়াত্তা মালিক)
#Lecture_Shomogro
রাসূল সা. বলেন, “যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে তার পরিবারের সাথে কিছু সময় ব্যয় করে এর মধ্যে তার জন্যে সাদাকার সওয়াব রয়েছে।” – বুখারী।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এক সাহাবী
এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বললেন, আমাকে এমন কতিপয় বাক্য সম্পর্কে অবহিত করুন যে অনুযায়ী আমি জীবন-যাপন করতে পারি। অধিক কিছু বলবেন না, যার দরুণ আমি তা ভুলে যাই। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ কর। লোকটি পুনরায় প্রশ্ন করলে (আবার উক্ত বাক্যের প্রার্থনা করলে) তিনি বললেন, ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ কর। (আস্-সহীহাহ- ৮৮৪)
Source: ihadis. com
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :
যখন কোন ব্যক্তি ক্রুব্ধ হয় তখন যদি সে (আউযুবিল্লাহ) বলে তবে তার ক্ৰোধ প্রশমিত হয়ে যাবে। (আস-সহীহাহ-১৩৭৬)
Source: ihadis .com
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“আমি তোমাদের ওপর যা ভয় করি তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে শির্কে আসগর (ছোট শির্ক)। তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল শির্কে আসগর কি? তিনি বললেনঃ “রিয়া (লোক দেখানো আমল), আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তাদেরকে (রিয়াকারীদের) বলবেন, যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেয়া হবেঃ তোমরা তাদের কাছে যাও যাদেরকে তোমরা দুনিয়াতে দেখাতে, দেখ তাদের কাছে কোন প্রতিদান পাও কিনা”। [আহমদ]
Source: ihadis. com
আবু মূসা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
”প্রতিটি মুসলিমের ওপর সদাকা ওয়াজিব। জনৈক সাহাবী বললেন, ‘কিন্তু সে যদি কোনো কিছু না পায়? তিনি বললেন, ‘তাহলে সে নিজ হাতে কাজ করে নিজেকে লাভবান করবে এবং সদাকাও দেবে। সাহাবী বললেন, ‘আর সে যদি তাও না পরে? তিনি বললেন, ‘তাহলে সে দুস্থ ও অভাবী লোকদের সাহায্য করবে। সাহাবী বললেন, ‘সে যদি তাও না পারে? তিনি বললেন, ‘তাহলে সে ভালো কাজের আদেশ করবে। সাহাবী বললেন, ‘যদি সে এটাও করতে না পারে? তিনি বললেন, ‘তাহলে সে অন্তত নিজেকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। কেননা, এটাও তার জন্যে সদাকা।” (বুখারীঃ ১৪৪৫ ও মুসলিমঃ১০০৮)
নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত কী, একজন দাঈ কোন দাওয়াত মানুষের সামনে পেশ করবেন,জনসাধারণ কোন দাওয়াত গ্রহণ করবে এবং কাদের সাথে অবস্হান করবে এ জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন্য হল হক্ব সংগঠন।কারণ অগণিত জাহেলী মতবাদ,অসংখ্য ভ্রান্ত পথ,শত শত বাতিল ফের্কা,হাযার হাযার জাহান্নামী আলেম এবং লক্ষ্য লক্ষ্য মিথ্যা ও ভুয়া আমল সমাজে প্রচলিত আছে।প্রত্যেকেই নিজ নিজ মতকে প্রতিষ্টা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তাদের খপ্পরে কেউ পড়ে গেলে তার আর বাচার উপায় নেই।কারণ তারা তাকে জাহান্নামে ফেলে দিবে।বুখারী হাঃ7084,আবু দাউদ ।হাঃ4597।আল্লাহ বলেন,তোমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জূকে শক্ত করে ধারণ কর,পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।ইমরানঃ103।রাসূল সাঃ বলেন জামায়াত হল রহমত আর বিচ্ছিন্নতা হল গযব।আহমাদ হাঃ18472সনদ হাসান।